‘নবধ্বনি পড়ে কেউ লেখক-সাহিত্যিক হয়ো না, নবধ্বনি পড়ে কেউ দিগ্বিজয়ী আলেম হয়ো না, নবধ্বনি পড়ে কেউ সভ্য-নম্র-ভদ্র হয়ো না; নবধ্বনি কোনো জাদুর যষ্ঠি নয়, নবধ্বনি পড়ে পারলে একজন মানুষ হয়ো!’ বছর কয়েক আগে নবধ্বনির কোনো এক সংখ্যায় এ কথাগুলো পুরো পৃষ্ঠাজুড়ে ছাপা হয়েছিল। এ কথাগুলোর মাঝে ছোট্ট নবধ্বনির অনেকটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে। নবধ্বনি ঋজু, অহমবোধে গর্বিত হওয়ার মতো রসদ নেই তার, তবে ভালোবাসা বিলিয়ে ভালোবাসা পাওয়ার অসামান্য ক্ষমতা আছে নবধ্বনির। নবধ্বনি মূলত একটি আন্দোলিত ছোটকাগজ। তরুণদের হৃদয়ের কথা এখানে সগৌরবে উচ্চারিত হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঙালি নবীন-তরুণদের হৃদয়ের কথামালা প্রকাশ করে আসছি আমরা। নবধ্বনি আমাদের লালিত স্বপ্ন নয়, বরং স্বপ্নের প্রতীক। একে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় আমাদের অনেক স্বপ্ন ও আবেগ। এর কোনোটি বাস্তবে রূপ পায়, কোনোটি অবাস্তবতার আড়ালে হারিয়ে যায়। নবধ্বনির ভেতর যেহেতু নতুনের গন্ধ আছে, আমরা সেই গন্ধ শুঁকে বারবার জেগে ওঠি নতুনের চেতনায়। প্রতিটি সূর্যোদয় আমাদের কাছে নতুন নতুন প্রেরণার বাণী নিয়ে হাজির হয়। আমরা নতুন উদ্যমে নিজেদের নবায়ন করি, নতুনের সন্ধানে ছুটে চলি।