বাঙালি বীরাঙ্গনাদের গল্প শুনেছিলাম, দেখিছি ফিলিস্তিনের সাহসিনীদের।
পাথর-শিশুদের দেখে আমার বুকে জ্বলে ওঠে তিরিশ লক্ষ তারকা; দেশমাতৃকার জন্যে জীবনবাজি রেখে লড়াই, এ তো এক অমোঘ সত্য…
লাল-সবুজ পতাকায় আমি অবলোকন করি সাদাকালো রুমাল প্যাঁচানো প্যালেস্টাইনের তরুণ-তরুণী; দু’হাত ভর্তি পাথর, গোলাইল আর জখমের ক্ষত!
প্রিয় ফিলিস্তিন! তুমি আমার মাতৃভূমি নও, বরং আমার চির-আরাধ্য প্রবাসী প্রেয়সিনী!
আমার আজন্ম অনুরাগের বিউগল আর কবিতার পাÐুলিপি, তুম শান্ত রাহো…
নবধ্বনি, ফেব্রুয়ারি ২০১৮
অস্থির কিশোরীর বুকের ওঠানামার চাঞ্চল্য হয়ে ভাবনার দুয়ারে কড়া নেড়ো, আমার মর্দেগি আমি সামলে নেব আত্মশুদ্ধি আর পবিত্র বন্ধনের মন্ত্রে; কিন্তু তুমি বারেবার রক্তাক্ত, বারেবার প্রতিবেশীর কুনজরে দৃষ্টি ও জীবনের ক্ষত! আমি মুষড়ে পড়ি, আদিম ক্লান্তির চেয়েও অধিকÑহতাশায় মুষড়ে পড়ি…
আল-আকসার পলেস্তারা নয়, যেন পুড়ে গিয়ে খসে পড়ে আমাদের সদ্যজাত সন্তানের একটা পা, ডান বাহুর কবজি। মাথার উপরিভাগের পুরোটা জুড়ে লা-ল রক্ত-চুলের জট, অবয়বও যেন এক রক্তের ক্যানভাস…
অনিচ্ছার অগত্যা কেউ ভেঙে ফেলেছে আলতার শিশিÑমেজেতে ছড়িয়ে পড়েছে সলাজ ন¤্রতা। এমন অনাবিল পবিত্রতায় পৃথিবী বিকিয়ে দেয়া যায় কয়েকবার।
তারপরেও তো ফিলিস্তিন, আজ অবধি তুমি আমার কান্নার স্মারক, ভালোবাসার এক-অদ্বিতীয়া অধিকারিণী… তুম শান্ত রাহো!