‘কী রে মা, তুই একা আসলি যে? জামাইকে তো দেখছি না। পিছিয়ে পড়েছে নাকি? একসাথে আসতে পারলি না? যদি পথ ভুলে যায়? আমি কী যাব এগিয়ে আনতে?’
মেয়েকে লটবহর নিয়ে আসতে দেখে পেছনের রাস্তায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে দিতে একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন করল জামাল মিয়া।
মেয়েটা অনেক দিন হলো এ বাড়িতে আসেনি। তার পেছনে অবশ্য কিছু কারণও আছে। গতবার এসে বাপের সম্পত্তির ভাগ নিতে চেয়েছিল জান্নাত। নিয়ম কী জানি না, তবে মেয়েরা বাপের সম্পত্তির ভাগ তখনই নেয়, যখন বাপ মারা যায়। কিন্তু এখানে ঘটল ঠিক উল্টোটা। জামাই কী যেন একটা ব্যবসা শুরু করবে বলে টাকা চেয়ে পাঠিয়েছিল। নগদ না দিতে পারায়, মেয়েটা এসে বাবাকে চুপিচুপি নিচু স্বরে বলেছিল অনেক কথা। যার সারর্মম হলো—উনার জামাই বউয়ের বাড়িতে যেটুকু সম্পত্তির ভাগ পাবে সেটা নিতে চায়। মেয়ের কথা শুনে জামাল মিয়া বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকেছিল। কাঁধের উপর দুইটা ছেলে, একটার চিন্তা অবশ্য নেই, মাস কয়েক হলো বড় ছেলেটা ঘর আলো করে নতুন বউ এনেছে। কিন্তু ছোট ছেলেটার এখনো কোনো গতি করে দিতে পারেনি। এসব চিন্তা করে জামাল মিয়া বলেছিল, ‘আচ্ছা, তুই যদি তাই চাস তবে নিবি।’
বাবার কথা শুনে মাথা নিচু করেছিল জান্নাত। জামাল মিয়া মেয়েকে কিছু না বললেও ছোট ছেলেটা অনেকগুলো কথা শুনিয়ে দিয়েছিল সে-বার। জান্নাত অবশ্য রাগ করেনি, কারণ ছোটভাই তো আর মিথ্যা কিছু বলেনি। কিন্তু পরের ঘরে থাকতে হলে কত কথাই তো সহ্য করতে হয়। জান্নাতের মনে দাগ না কাটলেও ছোট শ্যালকের কথায় জামাই কিন্তু ভারী রাগ করেছিল। শালকের কথা শোনার পর তার এই বাড়ির সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে নাকি বিবেকে বেঁধেছিল। তাই সেটা আর শেষ পর্যন্ত নেয়নি। সেই যে মেয়েটা চলে গেল না খেয়েই, তারপর থেকে মেয়েকে আর এ বাড়িতে আসতে দেয়নি। এতদিন পর মেয়েকে আসতে দেখে বেশ খুশিই হলো জামাল মিয়া, বিশেষ করে ছোট নাতনিটাকে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল। এই বৃদ্ধ বয়সেও যেন ফিরে গেল ছেলেবেলায়। কিন্তু পরক্ষণে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যেন একটু অবাকই হলো। এতদিন পর এসেছে কিন্তু মুখে কোনো হাসি নেই। কোনো কথাও বলছে না।
‘কী রে মা, এবার বুঝি থাকবি বেশ কিছুদিন? তা ভালোই হলো। কতদিন আসিস না। তা হ্যাঁ রে, জামাই কবে আসবে?’ তোরা কিন্তু এক সাথে আসলেই পারতি। জানি, জামাই আমাদের উপর একটু রাগই করেছে। ছোটটাও না, কী বলতে কী বলে ফেলল সে-দিন। আসলে ছোট মানুষ তো। তাই…’
‘ছোট তো ঠিকই বলেছিল বাবা।’
এতক্ষণে জান্নাত নিচু স্বরে কথাটা বলল। কথাটা শুনে জামাল মিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মেয়ের দিকে।
‘জামাই কখন আসবে বললি না তো! বাজার-সদাই করতে হবে।’
‘আসবে না।’
‘আসবে না! তোকে একাই পাঠিয়ে দিল?’
মেয়ে-জামাই কিন্তু সত্যিই এল না। তার বদলে কয়েকদিন পরই পিওন এসে একটা কাগজ দিয়ে গেল। তারও কিছুদিন পর লোক মারফতে দেনমোহরের টাকাটাও। ঘটনাটা চার গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগল না। এইসব কথা বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়ে। চলছে কানাকানি, সবখানেই যেন একই কথা।
বিকালবেলা জামাল মিয়া পাড়ার চায়ের দোকানটায় গিয়ে বসেছিল। দোকানে আরও আট-দশটা লোক ছিল। জামাল মিয়াকে দেখেই একজন বলেছিল, ‘জামাল মিয়া কী শুনলাম এইসব? মেয়েটাকে নাকি পাঠিয়ে দিয়েছে?’
কথাটা শুনে বাকিরা মুখ টিপে হেসেছিল। যেন কথাটা খুব হাসির। এ যেন এক রসিকতাই বটে।
‘হ্যাঁ ভাইসাহেব, একটু ঝগড়া হয়েছিল নাকি রাগ-অভিমান। পরে ঠিক হয়ে যাবে।’
চায়ের কাপে একটা চুমুক দিতে দিতেই উত্তর দিয়েছিল জামাল মিয়া।
‘না মিয়া, তোমার মেয়েকে আর নিবে না। শুনলাম কাগজও নাকি পাঠিয়ে দিয়েছে।’
এই কথার জবাব অবশ্য জামাল মিয়া দিতে পারল না। কীই-বা বলবে উত্তরে! কথা তো আর মিথ্যা নয়। ধমক দিয়ে সবাইকে চুপ করানো যেত ঠিকই কিন্তু কতদিন? লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না, ওরা বলবেই। জামাল মিয়া তারপর আর সেখানে দেরি করেনি। ইতিমধ্যেই সবাই সেই বিষয়েই কথা বলা শুরু করেছে। কেউ বলছে মেয়েরই দোষ আবার কেউ কেউ মেয়ের পক্ষ টেনে বলছে, ‘আরে না, জান্নাতকে তো আমরা চিনি। ছোট থেকেই দেখে আসছি। আসলে জামাইটাই খুব একটা ভালো ছিল না।’
কেউ কেউ আবার এই কথার সাথে মত দিলেও বেশির ভাগই দ্বিমত পোষণ করল। তারপর আর সেখানে থাকা চলে না।
শুধু ছেলেরাই না, গ্রামের মহিলারাও এই বিষয়ে কানাকানি করছে। কেউ কেউ তো জান্নাতের কাছে এসেও এইসব বলছে। মেয়েটা কোনো জবাব দেয় না। চুপ করে শুনে যায়। দূর থেকে দেখে জামাল মিয়া। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চলে যায়। জামাল মিয়ার বউ রাহেলা বেগমও আঁচলে চোখ মোছে।
গতকাল মজিদ এসেছিল বাড়িতে। মজিদ গ্রামেরই ছেলে। বছর দুই হলো বউটা মরেছে। জান্নাত তখন বারান্দায় বসে তরকারি কাটছিল। মজিদ জান্নাতের পাশে এসে বসে বলেছিল, ‘কী শুনছি রে এইসব?’
‘কেন তোর তো খুশি হওয়ার কথা।’
‘দেখ বাজে বকবি না। খুশি কেন হবো?’
‘ও মা খুশি হবি না? ভুলি গেছিস নাকি? আমার যখন বিয়ে হলো তখন তোর সে কী কান্না। বাব্বাহ্, মনে হলে এখনো হাসি পায়।’
কথাটা শুনে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গিয়েছিলো মজিদের। কিন্তু জান্নাতের মুখে একটা হাসি ফুটে উঠেছিল।
‘সে তো আগের কথা, বাদ দে তো, আমি জানতামই না, আজকে সকালে মা বললো। তাই আসলাম তোর কাছে।’
‘বাব্বাহ্! তুই তো বউ মরার পর ঘরকুণো হয়ে গেছিস দেখছি। দশ গ্রামের লোক জানে আর তুই জানিস না?’
একটু খোঁচা দিয়েই কথাটা বলেছিল জান্নাত।
‘খুব জানিস তুই? তোর সাথে কথা বলাই ভুল হইছে। চাচি কই?’
বসা থেকে উঠতে উঠতে কথাটা বলেছিল মজিদ। আর সেটা দেখে জান্নাত মুখ টিপে হাসতে হাসতে বলেছিল, ‘আহারে বউয়ের কথা মনে করিয়ে দিলাম বুঝি? ইশ কত কষ্ট।’
‘দেখ বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু জান্নাত। চাচি কই, বল তো?’
‘কেন? আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিবি বুঝি? শোন, এখন কিন্তু আমার একটা বাচ্চা আছে। ভেবে চিন্তা কথা বলিস।’
মজিদ ততক্ষণে রান্নাঘরের দিকে হাঁটা শুরু করেছিল। জান্নাতের কথা শুনে পেছন ফিরে তাকিয়েছিল একবার। তারপর আবার রান্নাঘরের দিকে হাঁটা শুরু করেছিল।
মজিদ ছেলেটা একটু আবাল টাইপের। বুদ্ধিসুদ্ধি একটু কম থাকলেও মানুষ হিসাবে খুব ভালো। তরকারি কাটতে কাটতে বিয়ের আগের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল জান্নাতের। কথাগুলো মনে পড়তেই যেন হাসি আর থামতেই চায় না। রান্নাঘর থেকে রাহেলা বেগম উঁকি দিয়ে দেখেছিল। এই কয়দিনে মেয়েটাকে একটি বারের জন্যও হাসতে দেখেনি। সেইদিন হাসতে দেখে বেশ ভালোই লাগছিল তার।
‘মজিদ এসেছিল দুপুরে।’ পান সাজাতে সাজাতে কথাটা বলল রাহেলা বেগম।
‘তো?’
‘মজিদকে আমার আগে থেকেই ভালো লাগে। শুধু তোমার জন্য…’
‘আহ রাহেলা, এখন এইসব কথা বলে কী হবে? দেও তো পান দেও।’
স্ত্রীকে কথাটা শেষ করতে না দিয়েই পানের জন্য তাগাদা দিল জামাল মিয়া। রাহেলা বেগম সদ্য সাজানো একটা পান স্বামীর দিকে দিয়ে আরেকটা নিজের মুখে পুরে দিয়ে বলল, ‘মজিদ কিন্তু এখনও জান্নাতকে বিয়ে করতে চায়।’
‘এইসব কথা বাদ দেও তো রাহেলা। জান্নাত পাশের ঘরে আছে, শুনতে পাবে।’
‘পাবে না, ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি কিন্তু ওর দিকে তাকাতে পারছি না। বুকটা ফেটে যাচ্ছে। কত সহ্য করব? মা তো। তুমি তো সারাদিন বাইরে থাকো, ওর সামনে তো আমিই থাকি। মুখটার দিকে তাকাতে মায়া হয় আমার। মায়ের মন, তুমি কী বুঝবে!’
‘তো এখন কী করব?’
‘মজিদের সাথে যদি…’
‘এত কম সময়েই? লোকে কী বলবে? আর মেয়েটা রাজি হবে বলে মনে হয় না তো।’
‘এখনও তো সবাই কত কথা বলছে! তার বেলায় কিছু না?’
‘আচ্ছা দেখি, কয়েকটা দিন যাক। আলোটা কমিয়ে দেও তো। রাত অনেক হলো।’
রাহেলা বেগম হাত বাড়িয়ে হারিকেনের আলোটা কমিয়ে দিল। আর তার সাথে সাথেই ঘর জুড়ে নেমে এল অন্ধকার।
জান্নাতের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। মেয়েটার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে পাশের ঘরের সব কথাই শুনছিল সে। ছনের বেড়া, তাই কোনো কথায় বাঁধায় না। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না জান্নাত, ঘুমন্ত মেয়েটাকে বুকে চেপে ধরল, শক্ত করে।
আজকে ঘুমটা একটু তাড়াতাড়িই ভেঙেছে জান্নাতের। চারদিক এখনো আবছা অন্ধকারই আছে। দরজা খুলতেই দেখল মজিদ বসে আছে বারান্দায়। এত সকালে মজিদকে দেখে বেশ অবাকই হলো।
‘কী রে, তুই এখানে কেন? আর এত সকালে?’
‘আর বলিস না, কালকে চাচা বলল…’
‘আবার মিথ্যা কথা বলিস? সত্যি করে বল তো। আর তুই নাকি মাকে কী যেন বলছিস?’
একটু কড়া কণ্ঠে কথাটা বলতে বলতে মজিদের পাশে এসে বসে জান্নাত। মজিদ বেশ খানিকটা ভয় পেয়ে একটু সরে বসল। এটা নতুন নয়, আগেও মজিদ জান্নাতকে খুব ভয় পেত।
‘তো কী হইছে?’ একটু ভয়ে ভয়ে নিচু স্বরে প্রশ্ন করলো মজিদ।
‘বাচ্চা আছে আমার, সেটাও মেয়ে।’
‘সে আমি বুঝে নিবো।’
‘বুঝে নিবো মানে? তুই যাবি নাকি ঝাড়ু আনব?’
‘সে কেন?’
‘বুঝিস না তুই? দাঁড়া ঝাড়ু এনে বুঝাচ্ছি।’
কথাটা বলে উঠে দাঁড়াতে যা দেরি হলো তার আগেই মজিদ দিল এক ছুট। বলা তো যায় না, সত্যিই সত্যিই মারতে পারে, এ মেয়েকে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস করে না মজিদ। তার অনেক প্রমাণ আছে অতীতে। জান্নাত কিন্তু সত্যি সত্যিই ঝাড়ু আনল। নাহ্, মজিদ কে মারার জন্য না, সে আগেই চম্পট দিয়েছে। উঠানটা ঝাড়ু দিতে হবে, সকাল তো হয়ে গেছে।
‘হ্যাঁ রে মা, শুনলাম মজিদ নাকি…’
‘না বলে দেও বাবা।’
দুপুরবেলা ভাত খেতে বসে কথাটা তুলল জামাল মিয়া। সাথে রাহেলা বেগমও আছে। কিন্তু বাবাকে কথাটা শেষ করতে দেয় না জান্নাত। তার আগেই কথাটা বলল। জামাল মিয়া আর কোনো কথা না বললেও রাহেলা বেগম বলল, ‘দেখ না, তুই তো…’
‘না মা, আর হয় না।’
এবারও কথাটা শেষ করতে না দিয়েই কথা কেটে দিল জান্নাত। রাহেলা বেগমও আর কোনো কথা বলল না।
বছর কয়েক আগে, যখন জান্নাতের বিয়ে হয়নি, গ্রামের সবাই জানত মজিদের সাথে জান্নাতের গলায় গলায় ভাব ছিল, বিয়ে মজিদের সাথেই হবে। বিয়ের কথা ওঠার পর রাহেলা বেগমও অবশ্য কথাটা তুলেছিল। কিন্তু জামাল মিয়া রাজি হয়নি। মজিদের বুদ্ধিটা একটু কম, এমন ছেলের হাতে মেয়ে তুলে দিতে মনে সায় দেয়নি তার। জান্নাত যখন শুনল যে ওর বিয়ে কোনো বড় গেরস্ত ঘরে হচ্ছে তখন নিজের মনের বিরুদ্ধেই রাজি হয়েছিল। আর হবেই-বা না কেন? বয়স কম, তখন সবে তেরো। জান্নাতের বিয়ের দুই বছর পর বিয়ে করেছিল মজিদ। সে বউটাও ডেঙ্গু জ্বরে মরল।
তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর। জান্নাতের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেয়েটাও বড় হয়েছে। জামাল মিয়া গত হয়েছে বছর খানেক হলো। স্বামী গত হবার কয়েক দিনের মাথায় রাহেলা বেগমও গত হলো। এর মধ্যে ছোটভাইটাও ঘরে বউ এনেছে।
মজিদ যখন শেষ-বার জান্নাতের কাছে এসেছিল তখন সে বারান্দায় বসে মেয়েটাকে ভাত খাওয়াচ্ছিল। সন্ধ্যা তখন নামি নামি করছে। সূর্যটা পশ্চিম দিকে লাল হয়ে ডুবতে যাচ্ছে। পাখিরা কিচিরমিচির শব্দে নীড়ে ফিরছে। মজিদ এসে উদাস মনে বারান্দায় বসেছিলো। তারপর জান্নাতের মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিল। তারপর বলেছিলো, ‘চল না, বিয়ে করে ফেলি। এখনও সময় আছে তো। ভালো থাকব আমরা। বেলা শেষেও আলো থাকে।’
‘না মজিদ ভাই, তার আর সময় নেই। বেলা ফুরিয়ে এসেছে। তুই বরং যা।’
মজিদ আর কোনো কথা বলেনি সেইদিন। জান্নাত বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখেছিল মজিদের চলে যাওয়া। সত্যিই বেলা ফুরিয়ে এসেছে। সূর্যটাও ডুবে গেল পশ্চিম দিগন্তে। কিন্তু তবুও এত আলো কেন এই বেলায়? প্রশ্নটা জেগেছিল জান্নাতের মনে।
দিন কেটে যায়, বেলাও তো শেষ হয়। সূর্য ডুবে যায়, তবুও বেশ কিছুক্ষণ তার রেশ থেকে যায়। চারিদিক ভরে ওঠে আলোয়। সত্যিই কি মজিদের কথা ঠিক? বেলা শেষেও আলো থাকে? কিন্তু সে আলো তো ক্ষণিকের, একটু পরেই নেমে আসে অন্ধকার। গাঢ় অন্ধকার, যেমন অন্ধকার নেমে এসেছে জান্নাতের জীবনে। অন্ধকারই যদি নামবে তাহলে শেষ বেলায় এত আলো কেন? জান্নাত এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না।
জাউয়া বাজার, ছাতক, সুনামগঞ্জ
অক্টোবর ২০২০