নবধ্বনি
  • হোম
  • স্বাগত কলাম
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মুক্তগদ্য
  • গল্প
  • রঙধনু
  • দিনলিপি
  • পুরানো সংখ্যা
No Result
View All Result
নবধ্বনি
  • হোম
  • স্বাগত কলাম
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মুক্তগদ্য
  • গল্প
  • রঙধনু
  • দিনলিপি
  • পুরানো সংখ্যা
No Result
View All Result
নবধ্বনি

শেষ ভাল যার……..

নাজমুস সাকিব

শেষ ভাল যার……..
Share on FacebookShare on Twitter

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসাইনকে ফাঁসি দেয়া হয় ২০০৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর। মধ্যপ্রাচ্যে সেদিন ছিল পবিত্র ঈদুল আযহা। এই সেদিন ঘটনা স্তব্ধ করে দেয় দেয় সারা বিশ্বকে। ইরাকসহ মুসলিম দেশগুলোতে ঈদের খুশি ছাপিয়ে নেমে আসে শোকের ছায়া ।
আমেরিকা তাঁকে ফাঁসি দেয়ার জন্য ঈদের দিনটি বেছে নেবার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল যে কোনো ধরণের বিক্ষোভ বা অনাকাংক্ষিত ঘটনা এড়ানো। বিশেষ ব্যাক্তিদের মৃত্যুদন্ড সাধারণত এভাবে দেয়া হয়ে থাকে। বিশেষ কোনো দিনে যখন জনসাধারণের মনোযোগ অন্য দিকে থাকে এমন সময়ে চুপিসারে তাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
ইরাকে মার্কিন ও তাদের সহযোগী বাহিনীর হামলা শুরু হবার পর থেকে সাদ্দাম ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন তিনি। তাই গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল তাকে।
প্রায় চব্বিশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সাদ্দাম হুসাইনের জীবনের বেশিরভাগ ঘটনার ভিডিও চিত্র বা বর্ণনা সংরক্ষিত আছে। একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তা স্বাভাবিক বিষয়। তবে তার আÍগোপন ও জেলে কাটানো দিনগুলোর স্মৃতি অজানা রয়ে গেছে বেশিরভাগ মানুষের কাছে। এই দিনগুলো যে আরো বেশি রোমাঞ্চকর এবং গুরুত্বপূর্ণ তা কৌতুহলী যে কোনো মানুষই স্বীকার করবেন।
সাদ্দামের শেষ জীবনের দিনগুলোর কথা ভাবলে অন্য রকম এক সাদ্দাম হোসাইনকে আমরা দেখতে পাই। তার শাসকজীবনের বর্ণাঢ্য দিনগুলোর থেকে পুরোপুরি আলাদা ভিন্ন এক সাদ্দাম হোসাইন। নিয়তিকে যিনি মেনে নিয়েছিলেন মাথা নত না করেই। সাহসী ও দৃঢ়চেতা একজন মানুষ যাকে বয়স, অক্ষমতা, কিংবা পরাজয়ও পরাজিত করতে পারেনি।
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলার পর সাদ্দাম তার প্রাসাদ ত্যাগ করে পালিয়ে যান। ধারণা করা হয়, সেসময় তিনি ছিলেন তাঁর জন্মস্থান তিকরিতে। দুই ছেলে ছাড়া পরিবারের নারী সদস্যদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়া হয়। দুই ছেলে উদাই ও কুসাই পালিয়ে ছিলেন তিকরিতের একটি বাড়িতে। তাদের আশ্রয়দাতা ব্যাক্তি ছিলেন সাদ্দামের ঘনিষ্ট ব্যাক্তিদের একজন। নানা যুগের নানা দেশের বিশ্বাসঘাতকদের মত তিনিও শত্র“দের টোপ গিলে জানিয়ে দেন তাদের অবস্থানের কথা। উদাই ও কুসাই দাÍসমর্পন না করে নিহত হন বন্দুক যুদ্ধে। তাদের একজনের ১৪ বছর বয়সী ছেলে সন্তানও নিহত হয় এই যুদ্ধে।
উদাই ও কুসাই নিহত হওয়ার পর মার্কিন বাহিনী আরও আশাবাদী হয় সাদ্দামকে গ্রেফতারের বিষয়ে। সাদ্দামের দেহরক্ষী ও ঘনিষ্ট ব্যাক্তিদের তারা জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করতে থাকে। এদের কেউ কেউ তাঁর অবস্থান জানতেন না। কেউ জানলেও সে জায়গায় গিয়ে সাদ্দামকে পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ ভুল তথ্য দিয়ে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করেন।
তবে ততদিনে এতটুকু জানা গিয়েছিল যে, সাদ্দাম তিকরিতেই আছেন। প্রথমত তিকরিত ছিল তার জন্মভ‚মি। তিকরিতের জনগণকে তিনি অনেক সাহায্য করেছিলেন যে কারণে তিকরিতের অধিবাসীরা তার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিল। তাছাড়া আরবদের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী গুণ হচ্ছে আতিথেয়তা। শত্র“পক্ষের লোক হলেও আরবরা অতিথিকে সম্মান করে ও নিরাপত্তা দেয়। এসব মিলে আÍগোপন করে থাকা খুব কঠিন ছিল না সাদ্দামের জন্য।
আরও একতি তথ্য ছিল মার্কিনিদের কাছে। জানা গিয়েছিল, সাদ্দাম এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবার সময় পাঁচটি গাড়ির একটি বহর নিয়ে যান। বিশ্বস্ত কয়েকজন দেহরক্ষী তাঁর সাথে থাকে। তিকরিতে বিভিন্ন বাড়িতে তিনি থাকেন। এসব বাড়ির লোকদের কাছে অস্ত্র আছে। সাদ্দামের জন্য তারা প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
পাঁচ গাড়ির বহর এই কথাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল মার্কিন বাহিনীর জন্য। পুরো ইরাকে তারা গাড়ি চলাচল নজরদারি করতে শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ স্ক্যানার বসানো হয়। একসাথে কয়েকটি গাড়ির বহর দেখা গেলেই সংকেত দিবে এই স্ক্যানার। কিন্তু এই তথ্য মোটেও সহায়ক হয়নি তাদের জন্য। ততদিনে জানা যায়, সাদ্দাম একাই চলাচল করেন। ভাড়া করা ট্যাক্সি তার বাহন। মার্কিন বাহিনী তাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে।
অবশেষে আরেকজন বিশ্বাসঘাতকের সন্ধান পেয়ে যায় তারা। সাদ্দামের নিশ্চিত একটি অবস্থান জানা যায় তার কাছ থেকে। তিকরিতের একটি ছোট্ট বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। রাতের অন্ধকারে শব্দবিহীন হেলিকাপ্টারে মার্কিন সৈন্যরা রওয়ানা হয় সেখানে। বাড়ির ভেতর প্রথমে সাদ্দামকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়ির অবস্থা দেখে বোঝা যায়, সাদ্দাম এখানে কিছুক্ষণ আগেও ছিলেন। ছোট্ট বাড়ির রান্নাঘরে প্রচুর খাবার পাওয়া যায়। পাশেই একটি কক্ষে ছিল বিছানা। পাশে ইরাকের পতাকা এবং বেশ কিছু বই।
সৈন্যরা বাড়ির আশপাশ তল­াশি করতে শুরু করে। খড়কুটো দিয়ে ঢাকা ঝোপের মত একটি স্থান দেখে সন্দেহ হয় তাদের। ঝোপ সরিয়ে পাওয়া যায় গর্ত। সেই গর্তে নামতেই দেখা মেলে ইরাকের প্রেসিডন্ট সাদ্দাম হুসাইনের। গ্রেফতার নিশ্চিত জেনে তিনি আÍসমর্পন করেন। বলেন, আমিই ইরাকের প্রসিডেন্ট সাদ্দাম হুসাইন। কিছু প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলে সাদ্দামের বিচার। তার ফিরিস্তি অনেক লম্বা। বিচার কার্যক্রমের ভিডিওও আছে ইউটিউবে। এখানেও সাহসী সাদ্দামকে আমরা দেখতে পাই। বিচারের শুরুতে নিয়মানুযায়ী তার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে বিচারককে তিনি বলেন, তুমি আমার নাম জিজ্ঞেস করছ? আমার নাম জানো না? বিচারক তাকে বুঝিয়ে বলেন, আইনে আছে অভিযুক্ত ব্যাক্তি তার নাম ঠিকানা বললে¡। আপনার কি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে? সাদ্দাম বলেন, অবশ্যি আছে। কিন্তু আমি এখন এই আইন মানব না। আমি আইন এবং সংবিধানকে শ্রদ্ধা করি। আর তুমি এখন এইখানে বিচার করতে বসেছ দখলদারদের পক্ষ থেকে। ইরাকিদের পক্ষ থেকে না। এভাবে কিছুক্ষণ তর্ক করার পর সাদ্দাম তার নিজের পরিচয় দেন গণপ্রজাতন্ত্রী ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে।
বিচার কার্যের ভিডিওগুলোতে এমন অনেক আশ্চর্য দৃশ্য দেখা যায়। কখনো তিনি হাত উঁচিয়ে বিচারককে শাসাচ্ছেন। জোর গলায় আÍবিশ্বাসের সাথে নিজেকে সমর্থন করে চলছেন। এক হাতে ধরা পবিত্র কুরআন। কখনো কুরআনের আয়াত পড়ে শোনাচ্ছেন বিচারককে। কখনো বা উপস্থিত বিশ্বাসঘাতক সাক্ষীকে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন।
তাকে রায় পড়ে শোনানোর দৃশ্যের কথা আলাদা করে বলার মত। ফাঁসির রায় শোনার পর প্রায় পঁয়ষট্টি বছর বয়সী সাদ্দাম একটুও বিচলিত হন নি। বরং হাত উঁচু করে জোরে শোগান দেন- জনগণ বেঁচে থাকবে। জাতি বেঁচে থাকবে। আমলারা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। অথচ তার আগে অভিযুক্ত আরও তিনজনকে রায় পড়ে শোনানো হয়। ফাঁসির আদেশ শুনে কেঁপে ওঠতে দেখা যায় তাদের।
জেলখানায় সাদ্দাম হোসাইন কেমন ছিলেন তার বর্ণনা দিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শী অনেকে। জেনিস নামের এক মার্কিন নারী অফিসার ছিলেন সাদ্দামের দায়িত্বে। তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসাইন তার সাথে বেশ শুদ্ধ ইংরেজিতে কথা বলতেন। তিনি এত ভালো ইংরেজি জানতেন তা জানা ছিল না অনেকেরই। জেনিস কথা বলতেন আরবিতে। একজন মার্কিনি সেনা অফিসারের মুখে শুদ্ধ আরবি শুনে সাদ্দাম খুশি হতেন।
জেলের অফিসার ও সহবন্দী সবাই খুব সম্মান করতেন সাদ্দামকে। সাদ্দামও ভালো আচরণ করতেন। আরেকজন সেনা অফিসার বলেছেন, সাদ্দাম তার পালিয়ে বেড়ানোর দিনগুলোর গল্প তাকে শুনিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি গল্প তাকে খুব অবাক করেছিল। সাদ্দাম বলেছিলেন, এক রাতে তিনি একজনের আশ্রয় থেকে অন্য আরেক বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছিলেন। তার সাথে অনেকগুলো বন্দুক ছিল। দজলা নদী পার হবার সময় সাদ্দাম তাকে বলেন, তুমি বন্দুকগুলো নিয়ে নৌকায় করে চলে যাও। আমি সাঁতরে নদী পার হব। এই বয়সেও গভীর রাতে সাঁতার কেটে দজলা নদী পার হবার মত ক্ষমতা ছিল সাদ্দম হুসাইনের !
ফাঁসি দেবার দুদিন আগে সাদ্দামকে তার শেষ ইচ্ছা কী জিজ্ঞেস করা হয়। সাদ্দাম তখন বলেছিলেন, আমি যা চাওয়ার আমার রবের কাছে চাইব। আমি চাই না কেউ বলুক, সাদ্দাম কোনো শেষ ইচ্ছা পূরণের মাধ্যমে তার মাথার মূল্য গ্রহণ করেছিলেন।
ফাঁসির সময় জানার পর হেসে দিয়েছিলেন সাদ্দাম। এ দৃশ্য দেখে এক মার্কিন অফিসার এক ইরাকি কর্মকর্তাকে বলেছিলেন, বীররা মৃত্যুর কথা শুনে কাঁদে না। সাদ্দাম হুসাইন যে একজন বীর তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সাদ্দামের গ্রেফতারের মূহুর্তের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো সামরিক অভিযানের চিত্র জনসমক্ষে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। কিন্তু সাদ্দামের গ্রেফতারসহ তার ফাঁসির মূহুর্তের ভিডিও কীভাবে যেন এসে পড়ে যেন জনসমক্ষে। বিশেষ করে তাঁর ফাঁসির মূহুর্তের ভিডিও কেউ গোপনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয় ইন্টারনেটে।
আমেরিকার কাছে পরাজিত একজন বীর আরব নেতার ফাঁসির এমন দৃশ্য সত্যিই হৃদয় বিদারক। তবে বিরাট এক সান্তনা পাই আমরা এই ভিডিও দেখে। অকুতোভয় সাদ্দাম কালো কাপড়ে তার মুখ ঢাকেন নি। বলেছিলেন, আমার এর দরকার নেই। তারপর জোরে কালিমায়ে শাহাদাত পড়তে পড়তে তিনি নির্ভীক চিত্তে মৃত্যুকে বরণ করে নেন। এভাবে মৃত্যুর সময় কালিমা উচ্চারণ করা অনেক বড় ভাগ্যের বিষয়। বহু সাধনা করেও এমন সৌভাগ্য অনেকে পায় না। প্রিয়নবীর হাদিসকে সামনে রেখে বলতে পারি সাদ্দাম হুসাইনকে মহান প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।
তাঁর ফাঁসির মূহুর্তের এই ভিডিও নিশ্চই করা হয়েছিল তাকে অপমান করার জন্য। বিরোধীরা বিশ্ববাসীকে তাঁর অপমানজনক শেষ পরিণতি দেখাতে চেয়েছিল হয়ত। কিন্তু তাঁর কালিমা পাঠ তাঁকে চিরদিনের জন্য সম্মানিত করে দিয়েছে ইতিহাসে।
আরব বিশ্বের অনেক শায়খ টিভি প্রোগ্রামে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, সাদ্দাম শেষ জীবনে নিয়মিত কুরআন পড়তেন। কুরআনের সাথে স¤পর্কের ওসিলায় আললাহ হয়ত তাকে এই সৌভাগ্য দান করেছিলেন।
সাদ্দামের জীবনে অনেক ভুল ছিল। থাকাই স্বাভাবিক। মানুষ হিসেবে কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয়। তবে তার ভালো কাজের পরিমাণও কম না। ফিলিস্তিন-ইসরাইল প্রসংগে তিনি যে আপোষহীন অবস্থান দেখিয়েছেন তার মত হয়ত আর কোনো আরব নেতা দেখাতে পারেন নি। লেবানন ও সিরিয়াকে তিনি বলেছিলেন, তোমাদের দেশের সীমান্ত কয়েক সপ্তাহের জন্য খুলে দাও। ফিলিস্তিনকে আমি স্বাধীন করে দিব। আধুনিক আরব নেতাদের মধ্যে তাঁর মত স্বাধীবনচেতা কাউকে আমরা দেখতে পাই না। আজকে সিরিয়া ও ইরাকের যে দুরাবস্থা, সাদ্দাম বেঁচে থাকলে এমন হয়ত কেউ কল্পনাও করতে পারত না।
তবে কঠোর শাসক হিসেবে কুর্দি ও শিয়াদের প্রতি তার ক্রোধের মাত্রা একটু বেশিই ছিল। এই অপরাধ দেখিয়েই তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। শুধু তাঁকে ফাঁসি দিয়েই শত্র“রা ক্ষান্ত হয়নি। ফাঁসির অনেক দিন পর সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন এক ব্যাক্তি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ফাঁসির রশিতে মৃত্যু হবার আগেই সাদ্দামের দেহ নামানো হয় মাটিতে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। কয়েকজন লোক তখন তাঁর ওপর দাঁড়িয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সাধারণত ফাঁসির আসামিকে মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার আগে রশি থেকে নামানো হয় না। যারা তাঁকে ফাঁসি দিয়েছিল তাদের মধ্যে ইরানপন্থী কয়েকজন শিয়া ছিলেন। নিজেদের জিঘাংসা প্রকাশের জন্য তারা এমন পূর্ব পরিক্লপনা করে রেখেছিল। এই ঘটনার কোনো তদন্ত বা কোনো প্রতিবাদ কেউ করেনি বা করার প্রয়োজন মনে করেনি।
সাদ্দামের নানা কর্মকান্ডের হয়ত একদিন এরও বিচার হবে। ইতোমধ্যেই আমেরিকা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ইরাকে আগ্রাসন এবং সাদ্দামকে মৃত্যুদন্ড দেয়া ছিল একটি ভুল। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না বলেই আমরা জানি। ততদিন শুধু সাদ্দাম হোসাইন ইতিহাস হওয়ার অপেক্ষা।

ShareTweetShare

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি জানুয়ারি ২০১১ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি জানুয়ারি ২০১১ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি জানুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি জানুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি মার্চ ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি মার্চ ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি এপ্রিল ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি এপ্রিল ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি মে ২০১৭ সংখ্যা

মাসিক নবধ্বনি মে ২০১৭ সংখ্যা

আমাদের সম্পর্কে

যোগাযোগ

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা

© 2021 নবধ্বনি - Developed by Shabaka IT

No Result
View All Result
  • স্বাগত কলাম
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মুক্তগদ্য
  • গল্প
  • রঙধনু
  • দিনলিপি
  • পুরোনো সংখ্যা

© 2020 নবধ্বনি - Developed by Shabaka IT.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist