ফের দেখা হয়ে গেলো।
অবশ্য দেখা হওয়ারই তো কথা। দেখা না হলেই বরং আশ্চর্য হতাম। কখনো তো বলিনি―হারিয়ে গেছি। কখনো ভাবিওনি―হারানোর মিছিলে লেখা হবে এ নাম। যদি কোনোদিন হারানোর অভিলাষ জাগে মনে, বলে দেবো―এবার তবে বিদায় বন্ধু! যতোক্ষণ সামান্য ক্ষুদ্র প্রাণ নিয়ে দেখার সাধ আছে পৃথিবী, ততোক্ষণ পর্যন্ত সাজিয়ে যাবো নতুন করে পৃথিবীর প্রতিটি নতুন পদছাপ। হয়তো দীর্ঘ বিচ্ছেদ কখনো আবার বিরহের সেতারে রাগ তুলবে, আবার হয়তো কোনো এক ক্রান্তি সময়ের ডামাডোলে সব চুপচাপ। ফের আবার ভেসে উঠবো নিশানের কাপড়ে রঙ মাখাতে মাখাতে। আবার খলবল কথায় ভরে উঠবে সাদা কাগজের খসখসে বুক।
জুনায়েদ জামশেদ।
তিনি তার নাম দিয়েই বিশ^জয় করেছিলেন। গান দিয়ে জয় করেছিলেন শত কোটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়। আল্লাহর সান্নিধ্যে পাগলপ্রায় এ দায়ি-শিল্পী আল্লাহর ডাকে খুব জলদিই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। অথচ পুরো পৃথিবীর মুসলিম যুবকদের জন্য তিনি বয়ে বেড়াতেন ইসলামের চিরসবুজ পয়গাম। তিনি যেনো তার চিরতরুণ অবয়ব আর কণ্ঠের জাদুতে হয়ে উঠেছিলেন মুসলিম যুবকদের একজন অঘোষিত রোলমডেল। সাহাবাচরিত্রের এ মানুষটির চিরবিদায়ের পর শোকে বিহ্বল হয়ে উঠেছিলো পুরো পৃথিবী। তার প্রতি মানুষের ভালোবাসার সাগরে যেনো উঠেছিলো বেদনার ঢেউ।
ইসলামের এ দায়ির জীবনের ক্ষুদ্র কিছু অংশ নিয়ে নবধ্বনির এবারের আয়োজন। পাঠকমাত্রই তাকে স্মরণ করে আবেগে উদ্বেল হবেন।
আশাবাদের কথা।
নতুন করে আর কোনো আশাবাদের প্রতিজ্ঞা করছি না। তবে পাঠককে আশাবাদের কথা না শোনালেও নিজেরা কিন্তু আশাবাদী―এখন থেকে আবার নবধ্বনি নিয়মিত প্রকাশ হবে।
সবার দোআ কামনা করছি।